বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন
ইভা রহমান, নবাবগঞ্জ
বছর ঘুরে ফিরে আসছে মাহে রমজান। মুমিনের পূণ্য উৎসবের মাস রমজান। রহমত বরকতের বৃষ্টি বর্ষণের মাস রমজান। রমজান মাসে সেহরী, রকমারি ইফতার আর নানা আয়োজনে জেগে উঠে মু’মিন-মুসলমান। খাবার কেন্দ্রিক উৎসব শুধু না; ইবাদত -বন্দগীরও ধূম পড়ে মু’মিনের ঘরে ঘরে। রমজান সংযম শিক্ষার মাস, মাগফিরাতের মাস, মুক্তি অর্জনের মাস। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মহান প্রভুর নৈকট্য লাভ, আল্লাহর হাতে পুরস্কার প্রাপ্তি এ মাসের একান্ত দাবী।
বর্তমানে নিত্যপণ্যের দামের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে সব স্তরের মানুষ ভোগান্তিতে পড়লেও সীমিত আয়ের মানুষের জন্য তা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। গরিব আছে সংকটে, আর মধ্যবিত্তরা দিশেহারা। ফলে চিড়েচ্যাপ্টা দেশের অসহায় সাধারণ মানুষ। আবার এরই মধ্যে ঘরের দুয়ারে কড়া নাড়ছে রমজান। ইতোমধ্যেই রোজার পণ্যের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে সবখানে। রমজান মাস আসলেই আমাদের দেশে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে। পাল্লা দিয়ে দাম বাড়িয়ে থাকেন ব্যবসায়ীরা। পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে করে ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতা করেন কার চেয়ে কে বেশি লাভ করবেন। তবে অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোতে দেখা যায় বিপরীত ঘটনা। এমনকি মুসলিম সংখ্যালঘু দেশগুলোতেও রমজান মাস উপলক্ষে চলে জিনিসপত্রের দাম কমানোর প্রতিযোগিতা। আর এর ঠিক উল্টোচিত্র আমাদের দেশে। কবে শোধরাবো আমরা জিজ্ঞাসা থেকেই গেল!
ঠিক যখন এমনই দূর অবস্থা নিত্যপণ্যের বাজারের, তখন এশিয়ার বাঙ্গালী কমিউনিটির একমাত্র মুখপত্র ভয়েস এশিয়ান ডট নিউজ উদ্যোগী হয়ে দেশের আপামর সুবিধাবঞ্চিত ও নিম্ন আয়ের মানুষের কথা ভেবে “মাত্র ৮০০ টাকায় রমজানের বাজার” নামে একটি বিশেষ বাজারের মধ্যদিয় রোজাদার পরিবারের হাতে তুলে দেয় রোজার বাজার। বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)’র প্রোগ্রাম প্ল্যানার এবং ভয়েস এশিয়ান ডট নিউজের এডিটর এন্ড সিইও ইঞ্জিঃ মোশাররফ জুয়েল বিশেষ এই বাজারের উদ্বোধন করেন । উদ্বোধন শেষে তিনি বলেন, চারদিকে যখন রোজার পণ্যের দাম বাড়ানো নিয়ে চলছে দারুণ কারসাজি এবং ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট গড়ার মহাউৎসব ঠিক সেই মুহূর্তে ঐ সকল হীনব্যক্তিদের বিরুধবে নীরব প্রতিবাদ “৮০০ টাকায় রমজানের বাজার”। আমাদের এই বাজার সফল করতে যে সকল সহৃদয়বান ব্যক্তি এগিয়ে এসেছেন তাদের প্রতি আমাদের টিম কৃতজ্ঞ।
গ্রাম কিংবা শহর, সব জায়গায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অতিরিক্ত মূল্য দুর্বিষহ করে তুলেছে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাপন। সবমিলে জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে বর্তমানে। বাজারদরের ঊর্ধ্বগতিতে নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের সুবিধার জন্য মাত্র ৮০০ টাকায় যে সকল রোজার পণ্য তুলে দেয়া হয়- ২ কেজি চাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি ছোলা, ১ কেজি খেসারি ডাল, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি চিড়া, ১ কেজি বেসন, হাফ কেজি খেজুর, ১ জার ট্যাং। পুরো রমজান মাস জুড়ে আরো দুইবার এই বাজার পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান ভয়েস এশিয়ান টিম।
বাজারটির ক্রেতা মূলত নিম্ন আয়ের মানুষ। কেউ রিকশাচালক, কেউ দোকানের কর্মী, কেউ এলাকার কারখানার শ্রমিক। ৮০০ টাকায় রমজানের বাজার” থেকে রোজার বাজার করতে পেরে তারা খুবই আনন্দিত।